
মঞ্চায়ন
পুরোনো আয়নায় ঝাঁক বেঁধে ঢুকে পড়ে মৃত ভায়োলিন কর্ড
যেন কেউ চেনা নয়, কিংবা ছিলো না কখনোই।
এই ভেবে পরাজিত তলোয়ার মুছে নেয় রক্তিম অর্ধ-বলয়
মুহূর্তের স্ফুরণ রেখে যায় বিবৃত দাগের গভীরতা শুধু।
জবাবযোগ্য নয় কিছুই
অভিনয়ে বেশে শুকোয় যুবতীর ঘ্রাণ মাখা এক পশলা বৃষ্টি।
ফ্রেমে এতোটাই মুগ্ধতা ছিলো জেনেই
প্রজন্মের দাঁড়কাক সহসা মশগুল বিদ্রোহী ব্যকরণে
অবুঝের চশমায় লেগে হতাশার বুদ্ধ-প্রলাপ।
কবরে এইবার ঢুকে পড়ে ভালো কিছু দুঃখবেলা
মাতালের সংসারে হেঁটে আসে ভাদ্রের রোদ।
পা ফেলে পথের মুকুটে লুকোয় রাজসিক ধুলো।
অভিনয়ে এমন সরলতা নেই
দাম্ভিক জিরাফ গ্রীবা সাজায় নিপুন নৈশব্দ্যে হঠাৎ!
মগ্নবৈভব
গহীন কুয়াশার একরত্তি হাওয়া নিয়ে যায় রোজ।
আগ্রহী চোখের দৃষ্টি খুলে দেখা চুপটি করে শাদা মেঘে !
একজন্ম আঁধার ধরে রাখা এক অদ্ভুত আহবানে বসে আছে সে।
পায়ের নিচে শিশিরে ভেজা ঘাস,
চোখের সামনে এক অদম্য বিহবলতা— মনিরামপুর!
আলোর নাচনে মুগ্ধ এই প্রাণ।নিরন্তর সে শোনায় শিল্পীত সংগীত।
শুনতে শুনতে ধ্যানী হয়ে ওঠে শীতার্ত মগজ...
পায়ের পাশাপাশি পা চলে নিত্যদিন।
পৌষে মগ্ন হয় কী এক দুঃখ কাল্পনিক!
ফিরিয়ে নেয় সে আজন্ম কাঙ্ক্ষিত সময়
ভুলের আড়ালে যাত্রা-চিত্র এঁকে ফেলি ভুলে
মিথ্যে ভোরের আড়ালে তবুও থেকে যায় রেলযাত্রার সুর
তন্ময়তা জুড়ে আঁকে দীর্ঘ পথ— মনিরামপুর!
শেষ লেখা
একটা রঙ থাকে শোকের।
গাঢ় অন্ধকারে খুঁজে পাওয়া সেরকমই স্বার্থপর ভায়োলিন।
কররেখা জ্বেলেই দেখে নেয়া এ মুগ্ধ সংসার..
আলোর ওপাড়ে শীতল চোখ
কবিতার ধ্যান ছুঁয়ে দীর্ঘ প্রশ্বাস
নিষিদ্ধ জলে স্নানরত শাদাটে রাজহাঁস
উর্বশী কিশোরীর পুষ্পিত পলল শরীর
জ্যোৎস্না পোড়া ব্যস্ত শহর
প্রত্যহ বাড়ি ফেরা মুখস্থ পথ ,পরিচিত লোকালয়...
লুট হয়ে গেছে কিছু একটা।
পরাজয়ের মতো স্নিগ্ধ সুষমিত জীবন চেয়েছে একা
মৃত্যু যেমন তুলোট কাগজের ফুল।
ভুলের পরিণতিতে কাফনের ছবি আঁকা।
অন্ধ ফড়িংয়ের মতো একা ছেড়ে যাই এই পৃথিবী
আবহাওয়া প্রেমীদের সুখবর এই
কোনদিন কবিতার উঠনে দেখা হবে না আর।
একটা রঙ থাকে একজন্ম প্রায়শ্চিত্তের
জানে শুধু ফাঁসির উদ্ধত বিনাশ।